মেরিনা বে’র মতো পাঁচতারকা হোটেলে আইসোলেশনে থাকবেন প্রবাসীরা

সিঙ্গাপুরে নাগরিকদের চেয়ে ভাই রাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানকার প্রবাসী শ্রমিকরা। ৯০ শতাংশ শ্রমিক বিভিন্ন ডরমিটরিতে থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাদের চিকিৎসায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে আক্রান্ত প্রবাসী শ্রমিকদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে মেরিনা বে’র মতো পাঁচতারকা হোটেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিঙ্গাপুরের শ্রম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ভাই রাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা অন্যান্য ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তাদের মাধ্যমে যাতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয় দুটি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলগুলোকে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন রুম হিসেবে ব্যবহার করা হবে। মেরিনা বে তাদের মধ্যে একটি। এ ছাড়া পাঁচতারকা মানের আরও কিছু হোটেল, যেমন- অরচার্ড, ক্লাক কোয়ারি ইত্যাদিতে প্রবাসী শ্রমিকদের রাখা হবে।

সিঙ্গাপুরের শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রবাসী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবাসিক এসব হোটেলগুলোতে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার অভিবাসী শ্রমিককে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। আইসোলেশনে রাখা হবে বিভিন্ন দেশে প্রচুর শ্রমিককে। তাদের খাবার, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধাদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদারকি করছে।

মেরিনা বে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা এক বাংলাদেশির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, তারা সেখানে সুরক্ষিত আছেন। প্রতিনিয়ত চিকিৎসকরা তাদের খোঁজ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন কর্তব্যরতরা।

সর্বশেষ তথ্য মতে সিঙ্গাপুরের এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৯১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৪৮ হন। মারা গেছেন ২১ জন। এদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি রয়েছেন।